মহসিন মিয়া :
খালিয়াজুরীর ফসল রক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ এখনো
শেষ হয়নি। ৩১ মার্চের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অর্ধেক কাজ বাকি
আছে। এর আগে প্রথম দফায় ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু
সে সময়ে বাঁধের অধিকাংশ কাজই শুরু করা হয়নি। বর্তমান কাজের মন্থর অবস্থায়
শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
এলাকাবাসী জানায়, হাওর জনপদ
খালিয়াজুরী উপজেলা একমাত্র বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। এ ফসল বিভিন্ন বছর
আগাম বন্যায় পানির নিচে তলিয়ে যায়। তাই ফসল রক্ষায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারো
বাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়। এসব
প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১নং ফোল্ডারের চৌতারা বাঁধ, ২নং
ফোল্ডারের চৈতা বাঁধ, ৩নং ফোল্ডারের আতোয়ারের বাঁধের দুটি অংশ এবং ৪নং
ফোল্ডারের রসুলপুরের দক্ষিণ অংশ। এসবের কোনটিরই সংস্কার কাজ শেষ হয়নি।
এমনিভাবে শেষ হয়নি অন্যান্য বাঁধের কাজও। এলাকার একাধিক কৃষক তাদের পূর্ব
অভিজ্ঞতা থেকে জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ঠিকাদাররা এখানে নানা অজুহাতে কাজ
শুরু করেন পানি আসার আগ মুহূর্তে। এ সময় বাঁধগুলোতে কোন রকম কিছু পানি উঠে
গেলেই কি পরিমাণ মাটি কাটা হয়েছে তার কোন হিসাব থাকে না। এতে কাজ না করেই
সুবিধা অনুযায়ী প্রকল্পের টাকা লুটপাট করা হয়।
পানি উন্নয়ন
বোর্ডের নেত্রকোনা নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার জানান, চলতি অর্থ
বছরে খালিয়াজুরী উপজেলায় ফসল রক্ষার জন্য আগাম বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশনের
জন্য ১৯টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ৪টি ফোল্ডারের মাঝে এসব প্রকল্পের
১৫টি দেয়া হয়েছে পিআইসিকে ও ৪টি দেয়া হয়েছে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদারদের।
তিনি আরো জানান, খালিয়াজুরীতে পিআইসি’র কাজ ইতোমধ্যে শতভাগ শেষ হয়েছে।
টেন্ডারের কাজ শেষ হতে মাত্র ৩০ ভাগ বাকি থাকলেও তা দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।